Thursday, May 30, 2019

হযরত সুলায়মান (আঃ)-এর সমাধি, জিনদের তৈরি দেওয়াল ও পিলার


পবিত্র কোরআন শরিফের ২৭ নং সূরা আন-নামলের ১৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘সুলায়মান (আ.)-এর জন্য মানুষ, জিন ও পাখিদের মধ্য থেকে এক বিশাল বাহিনী সমবেত করা হয়েছিল। তারা ছিল বিভিন্ন ব্যূহে সুবিন্যস্ত।’ হযরত সুলায়মান (আ.) ছিলেন হযরত দাউদ (আ.) এর সবচেয়ে কনিষ্ঠ পুত্র। তিনি জন্মগ্রহণ করেন জেরুজালেমে।
আল্লাহ তায়ালা তাকে অনেক বিস্ময়কর নেয়ামত দান করেছিলেন। তিনি প্রাণীদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। তিনি জিনদের নিয়ন্ত্রণ করতেন। পিতা হযরত দাউদ (আ.) এর মৃত্যুর পর তিনি ৩০ বছর ফিলিস্তিন শাসন করেন। তিনি মসজিদুল আকসা সংস্কারে জিনদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
কথিত আছে, সুলায়মানের সময় জিনদের তৈরি মসজিদুল আকসার কিছু দেওয়াল ও দুটি পিলার এই মসজিদের বেইজমেন্ট এলাকায় এখনো দেখা যায়। হযরত সুলায়মান (আ.)-এর মাজারটি মসজিদুল আকসার কমপাউন্ডে অবস্থিত। মসজিদুল আকসা হচ্ছে মক্কা ও মদিনা শরিফের পর তৃতীয় পবিত্র ধর্মীয় স্থাপনা।

পবিত্র মাহে রমযান উপলক্ষ্যে গৌরনদী মাতব্বর হোটেল সেহরি ফ্রি মাশাল্লাহ বাংলাদেশে সম্ভব আশা করি ব্যবসায়িরা শিক্ষা গ্রহন করবেন।


ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ের একটি রেস্টুরেন্ট। নাম মাতাব্বর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটির বৈশিষ্ট্য হলো রমজানে সেহরির কোনো টাকা রাখেন না প্রতিষ্ঠানটির মালিক। 

মালিক মো. আবদুর রশিদ বলেন, ১১ মাস ব্যবসা করি আর রমজানে ফ্রি সেহরি খাওয়াই।
সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার পথে ওই হোটেলে খেতে যান বরগুনা কোর্টের অ্যাডভোটেক আবদুল্লা আল সাইদ। সেহরি শেষে দোকানি টাকা না রাখায় একটু অবাক হন তিনি। পরে বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এবং সঙ্গে জুড়ে দেন সেই মহৎ উদ্যোক্তার ছবি।
 
তার দেয়া স্ট্যাটাসটি হলো-
‘রমজানের রোজার মধ্যে রাতের বাসে হাইওয়েতে যাতায়াত করা আমাদের জন্য খুব দুশ্চিন্তার বিষয় না হলেও মোটামুটি চিন্তার বিষয়।
কারণ ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের মতো আমাদের ঢাকা-বরিশাল হাইওয়েতে খুব ভালো মানের খাবার হোটেল পাওয়া যায় না। তাই সাহরি খাওয়ার জন্য আমাদের ভরসা করতে হয় রাস্তার পাশে মোটামুটি মানের খাবার হোটেলের ওপর।
এ ভরসার মধ্যে দুইটি চিন্তার বিষয় হল খাবারের মান এবং খাবারের অতিরিক্ত মূল্য। খাবারের মূল্য অনেক সময় হোটেল মালিকরা দ্বিগুন থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে থাকেন। যাত্রীরা মোটামুটি বাধ্য থাকেন হোটেল মালিকের নির্ধারিত মূল্যে খাবার গ্রহণ করার জন্য। কারণ তাদের হাতে কোনো বিকল্প উপায় থাকে না।
যাত্রীদের এই অসহায়ত্বের সম্পূর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে হোটেল মালিকরা। তার মধ্যে পুরাতন পচা-বাসি খাবার তো আছেই। আমরা যারা রোজার মধ্যে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসার জন্য রাতের বাসে যাতায়াত করি তারা এই বিষয় গুলোর ওপরে মোটামুটি অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি।
আমি কিছুদিন আগে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য ঢাকায় গমণ করি এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে গতকাল (সোমবার) রাত ৯ টায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে ঢাকা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।
বাসে উঠে বাসের সুপারভাইজারের সঙ্গে সেহরি খাওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বললাম এবং সে আমাকে আশ্বস্ত করল রাত ৩ টার দিকে যে স্থানে হোটেল পাওয়া যাবে ওই স্থানে আমাদেরকে সেহরি খাওয়ানোর জন্য বাস থামানো হবে।
রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে বাস থামল। যে হোটেলের সামনে বাসটি থামল ওই হোটেলের সামনে আরও ১০ থেকে ১২টি বাস থামানো ছিল। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলরত ভালো মানের অধিকাংশ বাসই ওই হোটেলের সামনে থামানো দেখতে পেলাম।
যাত্রীদের সেহরি খাওয়ার জন্য একসঙ্গে অনেকগুলো বাস এই হোটেলটির সামনে থামায় হোটেলটিতে অনেক ভিড় হয়ে গেল। আমি সেহরি খাওয়ার জন্য হোটেলের খাবার টেবিলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম এবং কিছুক্ষণ পরে একটি চেয়ার খালি হলে আমি ওই চেয়ারটিতে বসি। আমি খাবারের কোনো দাম জিজ্ঞেস না করে খাওয়া শুরু করলাম কিন্তু আমার পাশে একজন যাত্রী হোটেলের বয়কে দাম জিজ্ঞেস করতেই বয় উত্তর দিল দাম লাগবে না কি খাইবেন বলেন।
কথাটা শুনে তখনও বুঝতে পারিনি বিষয়টা কী। আমি খাওয়া শেষ করে বিল দেওয়ার জন্য হোটেলের ম্যানেজারের কাছে যাই। তিনি আমাকে বিনয়ের সঙ্গে বললেন টাকা দেয়া লাগবে না। আমি বিষয়টি বুঝতে পারলাম না। তাই আবার তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেন টাকা দেয়া লাগবে না। সে আমাকে জানালো, বাবা বছরে ১১ মাস ব্যবসা করি এক মাস আল্লাহর খেদমত করি।
আমি একটু অবাক হয়ে গেলাম এবং বিষয়টি ভালো করে বোঝার চেষ্টা করলাম। জানতে পারলাম তিনি হোটেলের ম্যানেজার নন, তিনি হোটেলের মালিক। রমজান মাসে কারও কাছে হোটেলের খাওয়া বাবদ কোনো টাকা গ্রহণ করেন না।
আমার মতো কৌতুহলি হয়ে অনেক যাত্রী তার কাছ থেকে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করল। অনেক যাত্রী অবাক হয়ে হোটেলের মালিকের দিকে তাকিয়ে রইল। তার হোটেলের বয়রাও অনেক আন্তরিক। যে কোনো একজন খাবারের জন্য চেয়ারে বসলেই সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞেস করে কি খাবেন মাছ না মাংস। মাছ হলে কোন মাছ মাংস আর মাংস হলে কিসের মাংস।
যেখানে বাংলাদেশ রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা পণ্য মজুদদারি করে মূল্য বৃদ্ধি করে। ভেজাল পচা-বাসি এবং অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রির দায়ে ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করে নামি দামি খাবার হোটেলগুলোতে জরিমানা করেন।
সেখানে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই হোটেল মালিক স্রোতের বিপরীতে ব্যবসা করা একজন মানুষ। যে মানুষ রমজান মাসে রোজাদারদের খেদমত করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সে অবশ্যই কোনো সময় পচা-বাসি খাবার বিক্রি করতে পারেন না। এটা আমার বিশ্বাস।
ভালো থাকুক এই ভালো মানুষগুলো এবং তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক আমাদের দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা।'

Wednesday, May 29, 2019

রমাদানের শেষ দশকে বেশী বেশী পড়ি

- সায়্যিদুল ইসতিগফার (ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোআ) اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ হে আল্লাহ্‌! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী ওয়া আনা ‘আব্দুকা, وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ আর আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্বা‘তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي আপনি আমাকে আপনার যে নিয়ামত দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি, আর আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। আবূউলাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী। فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ অতএব আপনি আমাকে মাফ করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করে না। ফাগফির লী, ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা বুখারী, ৭/১৫০, নং ৬৩০৬। দোআ ও যিকির (হিসনুল মুসলিম) অ্যাপটি পেতেঃhttps://goo.gl/hmWsrH